ঝালকাঠি: নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য জে.এম হাতেম ইঞ্জিনিয়ারসহ ৮জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করে ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইদুল ইসলাম মন্টু নলছিটি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে রানাপাশা ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মামলার উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের সোবাহান সিকদারের ছেলে মনির সিকদার, উত্তর রানাপাশা গ্রামের লতিফ হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার, একই গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের ছেলে মো. রাজিব, মো. মাইনুল, উত্তর কাঠিপাড়া গ্রামের আশ্রাফ আলী খানের ছেলে ফয়সাল, একই গ্রামের আদম আলীর ছেলে মো. জুয়েল ও সুবিদপুর গ্রামের মো. মজিবরের ছেলে জুয়েল।
এরআগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নলছিটি লঞ্চঘাট এলাকায় খোকন মোড়লের চায়ের দোকানের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার ও মেম্বার সাইদুল ইসলাম মন্টুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার জে এম হাতেম জানায়, রানাপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদারের বাবা আমাদের এলাকায় হালহালটি করতো। সে কোন দিন দল না করলেও আ’লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ায় আমরা সবাই তার কাজ করেছি। কিন্ত চেয়ারম্যান হয়ে সে আ’লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে বিএনপির লোকজনকে নিয়ে চলাফেরা করায় বিএনপি এলাকায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এনিয়ে আমি সংসদ সদস্য আমাদের নেতা আমির হোসেন আমু ও তার পিএস ফকরুল মজিদ কিরনের কাছে অভিযোগ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় আমি বাড়ীর কাছে কাজ করানোর সময় চেয়ারম্যান মন্টু মেম্বারসহ ৩ মটোরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালিয়। বিষয়টি এমপি মহোদয়কে জানালে মামলা দিতে বলায় আমি নলছিটি থানায় যাওয়ার পর এলাকার লোকজনের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে জানতে পারি সে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) সাইদুল ইসলাম মন্টু বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।